শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধে সাধারণ মানুষ সরকারের নির্দেশনা মেনে নিজ ঘরে অবস্থান করছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে তেমন কেউ যাচ্ছেন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ও ওষুধ ছাড়া সকল ধরণের দোকানপাটসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, যানবাহন নেই সড়কে। আর এই সময়টাতে বাড়িতে অলস সময় না কাটিয়ে বই পড়া, ছবি আঁকা, ছড়া, কবিতা, গান ও নৃত্যু করার আহবান জানিয়েছেন বরিশাল চারুকলা। বিশেষ করে শিশুদের ছবি আকার প্রতি জোর দিয়েছেন তারা।
এরইমধ্যে তারা “আসুন সৃজনে মেতে উঠি” নামে একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম বা গ্রুপ তৈরি করেছেন। যেখানে বাড়িতে থাকার এই সময়ে শিশুদের আাঁকা ছবিগুলো তুলে ধরা হচ্ছে। চারুকলার সংগঠকদের মতে, করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাভাবিক জীবন-যাপন ব্যহত হচ্ছে। কেউ বাহিরে যেতে পারছে না, বেড়াতে পারছে না। নিজ পরিবার নিয়ে সবাই গৃহঅঙ্গনে সেচ্ছাবন্দী। এই বন্দীদশার সময়টুকু হেলায় না কাটাটোর জন্যই এসব উদ্যোগ। আমাদের বিশেষ করে শিশু ও শিক্ষার্থীদের হাতে এখন অফুরন্ত সময়। সৃজনের এক অবারিত দ্বার। এখন সময় তো বই পড়া, ছবি আঁকা, ছড়া, কবিতা, গান ও নৃত্যুকলার। তাই চারুকলার সংগঠকদের আহবান “যে যেভাবে পারি সৃজনে উম্মাদনায় ভরিয়ে দেই না এই সময়টুকু”।
শুধু তাই নয় ডিজিটাল প্লাটফর্মে তা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বলছেন তারা, যাতে স্বজন, বন্ধু ও শুভার্থীরাও তা দেখতে পারে। বরিশাল চারুকলার সাধারণ সম্পাদক রনি দাস বলেন, এই প্লাটফর্মটির মাধ্যমে আমরা যেমন শিশুদের বসে না থেকে ছবি আঁকার প্রতি আগ্রহী করে তুলছি। তেমনি গৃহজীবন যাপনের এই সময়টাতে যে যাতো ছবি জমা দিবে, তার ওপর ভিত্তি করে পুরষ্কারের ব্যবস্থাও করেছি। এখন পর্যন্ত অনেকেই তাদের আাঁকা ছবির ছবিতুলে জমা দিচ্ছেন। আমরা আশা করি আরো শিশুরা এতে অংশগ্রহন করবে। তিনি বলেন, সকলের প্রতি আহবান থাকবে আনন্দে আর সৃজনের ধারায় প্রত্যাখান করি করোনার কড়াল গ্রাস।
বেঁচে রই সৃষ্টি আনন্দে, জীবনের জয়গানে কাটুক আধার। তাই বর্ণময় সৃজনধারায় আসুন না জেগে উঠি। চারুকলার সাবেক সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, এসব কাজ বিশেষ করে ছবি আকার মধ্য দিয়ে আমরা শিশুদের ভাবনাগুলো দেখতে পারবো। তাই ভাবনা বিনিময়ের এই অফুরন্ত সময়টুকুকে সম্ভবনা হিসেবে ধরে আমরা নিজেরা আমাদের সন্তানদের মাঝে ছড়িয়ে দেই সৃজনের এই ঝর্ণাধারা। যার আলোকে ধারায় ধুয়ে মুছে যাক না আমাদের বন্দীত্বের গ্লানীময় একঘেয়ে এক যাপিত জীবন।